Monday, 21 May 2018

আম চিড়ার শরবত


উপকরণ:
     বড় আম           ১ টি,
     চিড়া              ১/২ কাপ,
     চিনি              ৪-৫ টেবিল চামচ,
     ভ্যানিলা্‌ এসেন্স      ২ ফোটটা,
     পানি              ৪ গ্লাস।



প্রণালী:
     চিড়া পানিতে ভিজিয়ে নরম করে নিন।সব উপকরণ তৈরি করে নিন।আম ছিলে টুকরো করে নিন।এবার সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।মিষ্টি চেক করে দেখুন।পানি একসাথে ব্রেন্ডারে না ধরলে অসুবিধা নেই পরে পানি দিয়ে জগে করে মেশাতে পারবেন।নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন।ইফতারের সময় হলে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন মজাদার ঠান্ডা আম চিরার শরবত।

জামের শরবত

উপকরণ:
     জাম          ১ কাপ,
     পানি          ১ কাপ,
     চিনি           ১ টেবিল চামচ,
     লবণ           আধ চামচের একটু বেশি,
     লেবুর রস      ১ চা চামচ,
     কাঁচামরিচ       অর্ধেক,
     পুদিনাপাতা কুঁচি পরিমাণমতো।



প্রণালী:

     জামের বীজ ছাড়িয়ে নিন।বাকি সব উপকরণ আর জাম একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।চাইলে ছেকে নিন না ছেকলেও হবে।ফ্রিজে রেখে দিন ঠান্ডা হওয়ার জন্য।ঠান্ডা হলে ইফতারে পরিবেশন করুন।

পুদিনা লেবুর শরবত

উপকরণ:
     লেবু          ১ টি,
     পুদিনা পাতা   ৩ টেবিল চামচ,
     লবণ         ১ চিমটি,
     চিনি         ৪ টেবিল চামচ,
     বরফ        পরিমাণ মতো।


             
প্রণালী:

     প্রথমে পুদিনা পাতা পরিষ্কার করে পানিতে ধুয়ে নিন।লেবু কেটে রস করে নিন।এখন ব্লেন্ডারে বরফ বাদে বাকি সব উপকরণ নিয়ে ব্লেন্ড করুন।ব্যাস এখন ছেকে নিন।পরিবেশনের গ্লাসে ঢেলে নিন।বরফ কিউব দিন উপরে পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা পুদিনা লেবুর শরবত।

শাহি পেস্তার শরবত

উপকরণ:
     দুধ                ১ লিটার,
     পেস্তা বাদাম         ১৫-২০ টি,
     সবুজ ফুড কালার    ২-৩ ফোটা,
     গোলাপজল          ১ টেবিল চামচ,
     জাফরাণ            সামান্য,
     চিনি              অধা কাপ।



প্রণালী:
     দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন।পেস্তা বাদাম বেটে নিন।এবার দুধ চুলায় দিয়ে তাতে চিনি, বাদাম বাটা, ফুড কালার ও গোলাপজল একসাথে দিয়ে ভালো করে মেশান।এবার কিছু সময় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।


রুহআফজার শরবত

উপকরণ:
     রুহআফজা         আধ কাপ,
     লেব             ১ টি,
     চিনি             দেড় কাপ,
     ইসবগুলের ভুসি   ১ টেবিল চামচ,
     বরফ কুচি         ইচ্ছেমতো,
     পানি              ২ গ্লাস।



প্রণালী:

     ইসবগুলের ভুসি বাদে সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করে নিন।পরিবেশনের আগে ইসবগুলের ভুসি ও বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

শসার শরবত

উপকরণ:
     শসা কুচি               ১ কাপ,
     পানি               ২ কাপ,
     ধনে পাতা কুচি     ১ টেবিল চামচ,
     লবণ               পরিমাণমতো,
     লেবুর রস          ১ টেবিল চামচ,
     বিট লবণ               আধ চা চামচ,
     কাঁচামরিচ কুচি       ১ টি,
     বরফ কুচি           পরিমাণমতো।



প্রণালী:

     বরফ ছাড়া সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।ছেকে নিন।গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।

সেহেরিতে চিকেন পাপাইয়া

উপকরণ:
মুরগির মাংস             ১ কেজি,
কাঁচা পেঁপে              আধ কেজি,
পেঁয়াজ কুচি              ৩ কাপ,
     গরমমশলা গুঁড়ো                ১ চা চামচ,
     হলুদ গুড়া               আধ চা চামচ,
     সয়াবিন তেল             ৪ টেবিল চামচ,
     আদা বাটা               ২ চা চামচ,
     রসুনবাটা                ২ চা চামচ,
     লবণ                  ১ চা চামচ,
     কাঁচামরিচ               ৪ টি,
     তেজপাতা               ২ টি,
     জিরা বাটা               ১ চা চামচ,
     ধনে গুড়া               ১ চা চামচ,
     গোটা দারুচিনি           ২ টি,
     এলাচ                  ৪ টি,
     টক দই                 ৪ টেবিল চামচ।



প্রণালী:

     প্রথমে পেঁপে কুচি করে কেটে নিন।এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, পেঁপে ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে নেড়ে কষিয়ে নিন।এরপর মুরগির মাংস দিন।সব মশলা একে একে দিয়ে কষিয়ে নিন।এবং পানি দিয়ে ঢেকে দিন।এবার পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ ও গরমমশলা গুঁড়া দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদান চিকেন পাপাইয়া।

কাঁচকলার চপ

উপকরণ:
     কলা সিদ্ধ              ২ টি,
     আলু সিদ্ধ              ৩ টি,
     ধনেপাতা কুঁচি          ১/৩ কাপ,
     কাঁচামরিচ কুচি         স্বাদমতো,
     সাদা গোলমরিচেরগুঁড়ো   ১/২ চা চামচ,
     জিরার গুঁড়া            ১/২ চা চামচ,
     টোষ্ট বিস্কুটের গুঁড়া      ১/২ কাপ,
     পেঁয়াজকুচি              ১ কাপ,
     ডিম                    ১ টা,
     ধনিয়ার গুঁড়া            ১/২ চা চামচ,
     মরিচের গুঁড়া             ১/২ চা চামচ,
     হলুদের গুঁড়া             ১/২ চা চামচ,
     লবণ                   স্বাদমতো,
     তেল                  পরিমাণমতো।



প্রণালী:

     প্রথমে সিদ্ধ করা আলু এবং কলাগুলোকে ভালো করে মেখে নিন।এবার একটি বাসনে ডিম ও বিস্কুটের গুঁড়া বাদে সব উপকরণ একসাথে নিয়ে ভালোকরে মেখে নিন।এবার এর ভেতরে কলা ও আলুর মিশ্রণটি দিয়ে আবার ভালো করে মেখে নিন।এরপর এর ভেতরে দিন ডিমের সাদা আংশ ও বিস্কুটের গুঁড়া।আবার ভালো করে মেখে নিন।এবার মিশ্নণটি দিয়ে আপনার পছন্দমতো চপের আকার তৈরি করুন।এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মিডিয়াম আঁচে চপ গুলো ভেজে নিন।এবার গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার কাঁচকলার চপ। 

আম দুধের ক্ষীর

উপকরণ:
     দুধ                  ২ কেজি,
     চিনি                 ১ কাপ,
     বাসমতি/পোলাও চাল   ১ কাপ,
     এলাচ                 কয়েকটা,
     দারুচিনি               কয়েকটা,
     তেজপাতা              ৩-৪ টা,
     আম এর পিউরি           ১ টিন,
     ডাবল ক্রিম           ৩০০ মি.লি।


প্রণালী:

     হাড়িতে দুধ দিয়ে সাথে চাল, এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।আস্তে আস্তে ঘন হতে থাকবে।খেয়াল রাখবেন যেন নিচে না লেগে যায়।ঘন হলে নামিয়ে নিন।এবার আমের প্লাপটা ব্লেন্ডোরে ব্লেন্ড করে নিয়ে ক্ষির এর সাথে মিশিয়ে নিন।ক্ষির ঠান্ডা হওয়ার পর আম এর মিশ্রণ টা মেশাবেন।সাথে ডাবল ক্রিম মিশিয়ে দিন।ক্ষীর এর উপর কিছুটা পাল্প সাজানোন জন্য দিতে পারেন।ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

মজাদার সেমাই পিঠা

উপকরণ:
     চালের গুঁড়া              ২ কাপ,
     লিকুইড দুধ              ৩ লিটার,
     কনডেন্সড মিল্ক           ১ টিন,
     চিনি                 স্বাদমতো,
     খেজুরের গুঁড়             ১/২ কাপ,
     এলাচ গুঁড়া             ১ চা চামচ,
     লবণ                  সামান্য,
     পানি                   পরিমাণমতো,
     কিসমিস, পেস্তা            সাজানোর জন্য।



প্রণালী:

     পানি ফুটিয়ে চালের গুঁড়া দিয়ে ডো করে নিন।চুলা থেকে হাড়ি নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা করে বেশ ভালোভাবে ডো /কাই মায়ান দিয়ে নিন।মায়ান দেয়া হলে অল্প করে ডো নিয়ে লেচি কেটে সেমাই বানিয়ে নিন।সব বানানো হলে চুলায় দুধের হাড়ি বসান।দুধ ফুটে উঠলে ১ কাপ দুধ উঠিয়ে রাখুন।এই ১ কাপ দুধ ঠান্ডা করে তাতে গুঁড় গলিয়ে ছেকে রাখুন। এইবার দুধের সাথে কনডেন্সড মিল্ক ,এলাচগুঁড়া ও চিনি স্বাদমতো মিশিয়ে জ্বাল করে নিন।চিনির পানি শুকিয়ে গেলে অল্প অল্প করে তৈরি করে রাখা সেমাই মিশিয়ে নিন।ঠান্ডা হলে কিসমিস ও পেস্তা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ক্ষিরের ভাজা পুলি

উপকরণ:
     ময়দা              ৩ কাপ,
     চালের গুঁড়া         ১ কাপ,
     লবণ              ১ চা চামচ,
     কুসুম গরম পানি    পরিমাণমতো,
     দুধ                ২ লিটার,
     ছানা              ৩০০ গ্রাম,
     বাদাম             ৫০ গ্রাম,
     কিসমিস           ১ টেবিল চামচ,
     কনডেন্সড মিল্ক      আধকাপ,
     চিনি              স্বাদমতো।



প্রণালী:

     প্রথমে দুধ ঘন করে তাতে কনডেন্সড মিল্ক ও চিনি দিন।তারপর বাদাম কিসমিস ছানা দিয়ে ২-৩ মিনিট নেড়ে নামিয়ে নিন।এবার ময়দা, চালের গুঁড়ি ও লবণ দিয়ে শক্ত ডো বানিয়ে রুটি বেলে নিতে হবে।এবার ছাঁচে দিয়ে ভিতরে ক্ষিরের পুর দিয়ে পছন্দ মতো পুলি বানিয়ে ডুবো তেলে সোনালী করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Monday, 14 May 2018

বেগুণী

উপকরণ
     লম্বা বেগুন               অর্ধেকটা(পাতলা করে কাটা),
     ছোলার ডালের বেসন       ১ কাপ,
     ময়দা                    ১ টেবিল চামচ,
     ধনে গুঁড়ো                ১/২ চা চামচ,
     জিরা বাটা                ১/৩ চা চামচ,
     আদা বাটা                ১/২ চা চামচ,
     রসুন বাটা                ১/২ চা চামচ,
     বেকিং পাউডার            ১/৪ চা চামচ,
     কর্ন ফ্রাওয়ার              ১/২ চা চামচ,
     মরিচ গুড়ো               ১/২ চা চামচ,
     হলুদ গুড়ো               ১/২ চা চামচ,
     লবণ                    স্বাদমতো,
     চিনি                     অল্প,
     পানি                    পরিমাণ মতো,
     ডিম                    ১ টা,
     তেল                    পরিমাণমতো (ভাজার জন্য)।



প্রণালী:
     বেগুনী তৈরির অনন্ত ১ ঘন্টা আগেই বেসনের মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে।তাই শুরুতেই বাটিতে বেসন নিয়ে তার মধ্যে বেগুন, পানি, তেল ও ডিম বাদে বাকি সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে এমনভাবে মিশিয়ে নিন যাতে মিশ্রণটা থকথকে হয়।এবার এই মিশ্রণে ডিমটা ভেঙ্গে দিন।ভালভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটা ১ ঘন্টা রেখে দিন।১ ঘন্টা পর বেগিুনি তৈরির জন্য বেগুন গুলো ধুয়ে লম্বা-লম্বি ভাবে পাতলা করে কেটে সামান্য লবণ, চিনি, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে মেখে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।এতে বেগুনির বেগুনটা নরম আর খেতে ভালো লাগবে।এবার বেগুনী ভাজার জন্য কড়াইতে তেল গরম করে কেটে রাখা বেগুন বেসনের পেষ্টে ভালভাবে চুবিয়ে ডুবো তেলে বাদামী করে ভেজে টিস্যু পেপার এ ছড়িয়ে রাখুন।বেগুনী খুব তেল চপচপে হয়ে ওঠে তাই টিস্যু পেপার তেল কিছুটা চুষে নেবে।তো হয়ে গেল বেগুনী ইফতারিতে অবশ্যই থাকা চাই এমন বেগুনী।






মসুরের ডালের পিয়াজু


উপকরণ     :
     মসুরের ডাল             পরিমাণ মতো,
     পেঁয়াজ কুচি              পরিমাণ মতো,
     কাঁচা মরিচকুচি        পরিমাণ মতো,
     জিরা বাটা             অধ চা চামচ,
     রসুন বাটা             অধ চা চামচ,
     খাবার সোডা             ১ চিমটি,
     হলুদ                 পরিমাণ মতো,
     লবণ                 পরিমাণ মতো,
     তেল                 ভাজার জন্য (পরিমাণ মতো)।



প্রণালী:
     ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে নরম করে নিন।এবার নরম ডালটিকে ব্লেন্ডারে অথবা শিল পাটায় পিষে আধ বাটা করে নিন।এবার সব উপকরণ একসাথে ভালভাবে মেশান।এবার প্যান এ বা লোহার কড়াইতে তেল গরম করুন।তেল যথেষ্ট পরিমাণ গরম হলে একে একে তেলে ছাড়তে থাকুন পিয়াজু।তবে কম তাপে ভাজা যাবেনা।বাদামি রং হয়ে এলে উল্টিয়ে দিন অপর পিঠ ভাজার জন্য।তবে খুব বেশি না পুড়ে গেলে পিয়াজুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।ভাজা হয়ে গেলে টিস্যু পেপারে বা সাদা কাগজে উঠিয়ে নিন।যাতে বাড়তি তেল গুলা ঝরে যায়।এবার পরিবেশন করুন গরম গরম মচমচে পিয়াজু।   


আলুর চপ

উপকরণ:
     আলু                   ৫০০ গ্রাম,
     কাঁচামরিচ কুচি           ১ চা চামচ,
     ধনেপাতা কুচি          ১ টেবিল চামচ,
     পেয়াজ বেরেস্তা            ২ টেবিল চামচ,
     গরমমশলা গুঁড়ো        ১ চা চামচ,
     ডিম (ফেটানো)       ১ টি,
     বিস্কুটের গুঁড়ো            পরিমাণ মতো,
     তেল (ভাজার জন্য)   পরিমাণ মতো।



প্রণালী:
     প্রথমে আলু সিদ্ধ করে ঠান্ডা করে লবণ দিয়ে মেখে রাখতে হবে কিছুক্ষণ।এবার একটি কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে আলু ভর্তা, ডিম ফেটানো, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, গরমমশলা গুঁড়ো, স্বাদঅনুযায়ী লবণ ও পেঁয়াজ বেরাস্তা দিয়ে ভালভাবে আবার মেখে নিতে হবে।এবার এই মিশ্রণ থেকে গোল গোল চপ আকারে তৈরি করতে হবে।চপগুলো ফ্রিজে প্রায় ৫-৬ মিনিট রেখে দিন।তারপর ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মিশিয়ে গরম ডুবো তেলে ভেজে টিস্য পেপার এ তুলে রাখুন।হয়ে গেল গরম গরম আলুর চপ।


পুঁইপাতার পাপড়

উপকরণ:

           বসেন                  ১ কাপ,
          চালের গুড়া           অধ কাপ,
          জিরা ভাজা গুড়া    ১/২ চা চামচ,
         মরিচগুঁড়া              অধ চা চামচ,
         পুঁইশাকেরপাতা        প্রয়জনমতো (বড় সাইজের),
         হলুদ গুড়া               পরিমাণ মতো,
         লবণ                      পরিমাণ মতো,
         ব্রেকিং পাউডার       ১ চা চামচ,
         রসুনবাটা                অধ চা চামচ,
         তেল                        ভাজার জন্য।



প্রণালী:
        সব উপকরণ মিলিয়ে পানি দিয়ে থকথকে গোলা তৈরি করুন।১ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।কড়াইতে তেল গরম করে পুঁইশাকের পাতা ২-৩ টি করে একেসাথে বেসনের গোলায় ডুবিয়ে তেলে ভাজুন।মচমচে বাদামী রং করে ভেজে  পরিবেশন করুুন।

ঘরোয়া এগ চাউমিন


উপকরণ:
     নুডলস               ৫০০ গ্রাম,
     পেঁয়াজ                ২ টি,
     গাজর কুচি            ১ কাপ,
     সয়াসস               ১ টেবিল চামচ,
     ভিনিগার              ১ টেবিল চামচ,
     গোলমরিচ            পরিমাণ মতো,
     লবণ                 পরিমাণ মতো,
     তেল                 পরিমাণ মতো,
     ডিম                 ৪ টি,
     আদাকুচি             ১ টেবিল চামচ,
     শাকসুদ্ধ পেঁয়াজকুচি    ৩ কাপ।




প্রণালী:
     নুডলস সিদ্ধ করে নিন।কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজুন।তারপর গাজর কুচি দিন। এবার এতে লবণ ও আজিনোমাটো ও গোলমরিচ দিয়ে নাড়ুন।তারপর এতে নুডলস মেশান।এবার এতে ভিনিগার ও সয়াসস দিন।নেরেচেড়ে নামিয়ে নিন।আলাদা বাসনে ডিম ফেটিয়ে ডিমের সঙ্গে আদাকুচি, শাকসুদ্ধ, পেঁয়াজকুচি দিয়ে মামলেট তৈরি করুন।মামলেটগুলো লম্বা করে কেটে ডিসের উপর ছড়িয়ে দিন।      
      

Sunday, 13 May 2018

ডিমের স্যান্ডউইচ

উপকরণ:
     ডিম              ১ টা,
     মাষ্টার্ড গুঁড়ো        পরিমাণ মতো,
     মাখন             পরিমাণ মতো,
     লবণ              পরিমাণ মতো,
     গোলমরিচ গুঁড়ো     পরিমাণ মতো।



প্রণালী:

     ডিম সিদ্ধ করে চাকা চাকা করে কেটে রাখুন।মাখনের সাথে অল্প পরিমাণ মাষ্টার্ড গুঁড়ো দিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন।পাঁউরুটির শক্ত অংশ বাদ দিয়ে মাষ্টার্ড পেষ্ট স্লাইস রুটিতে লাগিয়ে ডিমের চাকা ভেতরে সাজিয়ে লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে অন্য একটি পাউরুটি দিন।উপরে টমেটো ও শসা দিয়ে পরিবেশণ করুন।

কিমার স্যান্ডউইচ

উপকরণ:
     স্যান্ডউইচ ব্রেড           ৬ পিচ,
     গোশতের কিমা            ২৫০ গ্রাম,
     মাখন                 পরিমাণ মতো,
     মাষ্টার্ড পাউডার           পরিমাণ মতো,
     গোলমরিচ              পরিমাণ মতো,
     লবণ                   পরিমাণ মতো।
সাজাবার জন্য লেটুসপাতা, টমেটো, ও শসা (গোল করে কাটা)।



প্রণালী:

     স্যান্ডউইচ ব্রেড তিনকোনা করে কেটে একপিঠে মাখন মাখিয়ে নিন।কিমা অল্প লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে একটি বাসনে রেখে মাষ্টার্ড পাউডার ও গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।একটি মাখন মাখানো পাউরুটির উপর কিমা দিয়ে অন্য একটি পাউরুটি তার উপর চেপে দিন।এইভাবে ৩ টি স্যান্ডউইচ বানান।লেটুসপাতা, টমেটো ও শসা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চিংড়ি এঁচোড়ের কোর্মা

উপকরণ:
     এঁচোড়/কাঁঠাল       ৭৫০ গ্রাম,
     আলু              ৫ টি,
     চিংড়ি             ৩৫০ গ্রাম,
     পেঁয়াজ            ৩ টি,
     ছোট এলাচ         ৪ টি,
     লবঙ্গ              ৪ টি,
     দারচিনি            ১ টা,
     আদাবাটা           ২ টেবিল চামচ,
     কাঁচা মরিচ         ৪ টি,
     টকদই             ১৫০ গ্রাম,
     লবণ              পরিমাণ মতো,
     চিনি              পরিমাণ মতো,
     তেল              পরিমাণ মতো।



প্রণালী:
     এঁচোড় বড় বড় করে কেটে সিদ্ধ করে নিন।চিংড়ির খেসা ছাড়িয়ে ধুয়ে কুচিয়ে নিন।আলুও কেটে নিন।একটা পেঁয়াজ আদার সাথে বেটে নিন।কড়াইতে তেল গরম করে চিংড়ি ও আলু ভেজে নিন।গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে কাঁচা মরিচ ও কুচানো পেঁয়াজ দিন।এঁচোড় দিয়ে বাকি সব মশলা ও টকদই ফেটিয়ে দিয়ে লবণ ও চিনি দিন।এঁচোড় ও আলু সিদ্ধ হলে ভাজা চিংড়ি মিশিয়ে মাখা মাখা হলে নামাবেন।


করলা গোশত কোর্মা

উপকরণ:
     করলা             ১ টা,
     গোশত             ১ কিলো,
     পেঁয়াজ বাটা         ১ কাপ,
     আদা বাটা          ৩ টেবিল চামচ,
     ধনেভাজ গুড়ো       ২ টেবিল চামচ,
     টকদই              ১ কাপ,
     নারকের বাটা        ১ কাপ,
     কাজুবাদাম বাটা       ১ কাপ,
     মরিচগুড়ো           ২ টেবিল চামচ,
     ঘি                  ১/২ কাপ,
     গরমমশলা গুড়ো      ২ টেবিল চামচ,
    লবণ                পরিমাণ মতো।




প্রণালী:
     করলার ওপরটা চেঁছে অল্প হলুদ এবং লবণ দিয়ে মেখে ১০ মিনিট রাখুন।ধুয়ে নিয়ে টকদই মাখিয়ে করলা লাল করে ভাজুন।গোশত বড় টুকরো করে থেঁতো করুন।বাদামবাটা বাদে সব মশলা মেশান।কড়াইতে ঘি গরম করে গোশত কষে ৪ কাপ পানি দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন।এবার করলা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে পানি শুকিয়ে গেলে বাদাম বাটা দিয়ে নামিয়ে রাখুন।

ঝাল চিকেন রোস্ট

উপকরণ:
     মুরগি              ১ কেজি(৮ পিস),
     পেঁয়াজ বেরেস্তা      ২ কাপ,
     টক দই            ১ কাপ,
     আদা বাটা          ২ টেবিল চামচ,
     রসুন বাটা          ১ চা চামচ,
     হলুদ গুড়ো          ১ চা চামচ,
     মরিচ গুড়ো         ২ চা চামচ,
     জিরা গুড়ো          ১ চা চামচ,
     গরম মশলা গুড়ো     ২ চা চামচ,
     এলাচ বাটা          হাফ চা চামচ,
     ঘি                 ৪ টেবিল চামচ,
     লবণ                 স্বাদমতো।



প্রণালী:

     প্রথমে মাংসের পিচ গুলোকে কেটে, ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে হালকা তেলে বাদামি করে ভেজে নিন।এখন একটি বাটিতে ভাজা মাংসের সাথে সব উপকরণ মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখুন ২ ঘন্টা।এবার একটি প্যানে মাখানো মুরগির মাংস মিডিয়াম আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন ৪০ মিনিটের জন্য মাঝে মাঝে নারাচাড়া করে দিবেন।মাংস সিদ্ধ হয়ে এলে ওপরে কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি করে দিয়ে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন।নামিয়ে পোলাও, নান কিংবা পরোটার সাথে পরিবেশণ করুন মজার ঝাল চিকেন রোস্ট।

রসমালাই

 উপকরণ:
     ডিম                     ১ টি,
     বেকিং পাউডার                ১ চা চামচ,
     গুড়ো দুধ                 ১ কাপ,
     ময়দা                     ১ চা চামচ,
     তরল দুধ                  ১ লিটার,
     চিনি                       স্বাদমতো,
     এলাচ দানা (গুড়ো)         ১ টি,
     ভ্যানিলা এসেন্স/গোলাপজল    ১/২ চা চামচ,
     পেস্তা বাদাম কুচি            সাজানোর জন্য।


                    
প্রণালী:

     তলা ভারী এমন বড় একটি বাসনে চিনি আর তরল দুধ মিশিয়ে ফুটাতে দিন, এলাচ দানার গুড়ো টাও দিয়ে দিন।আঁচ খুব কম রাখুন।এবার আরেকটি বাসনে গুড়ো দুধ, ময়দা, ব্রেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন, ডিমটি ফেটিয়ে এই মিশ্রণে মেশান।ভ্যানিলা বা গোলাপজল দিন।সব একসাথে সুন্দর করে মিশিয়ে খামির বানান।খুব বেশি মাখাবেন না সব মিশে গেলেই হলো।প্রথমে খামিরটা হাতের সাথে আটকে আটকে যাবে আঠালো হয় কিন্তু ৩-৪ মিনিট রেখে দিলেই দেখবেন সুন্দর খামির হয়ে গেছে।হাতের সাথে আর আটকাচ্ছে না।এখান থেকে এবার ছোট ছোট বল বানান।বেশি বড় বানাবেন না, মারবেল মতো বড় বানালেই দেখবেন দুধ দেবার পর বলগুলো ফুলে দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে তাই ছোট বল বানান।এতোক্ষনে চুলায় দুধ ফুটে গিয়েছে, এই বলগুলো সাবধানে ফুটন্ত দুধের মধ্যে ছেড়ে দিন।চামচ বা কিছু দিয়ে নারবেন না।ফুটতে দিন আরও কয়েক মিনিট।দেখবেন বলগুলো আরও ফুলে উঠেছে।আঁচ আরও কমিয়ে দিন।এখন সর্বনিম্ন আঁচে রাখুন।দশ মিনিট এভাবে কম আঁচে রান্না করুন।মাঝে মাঝে বাসনটি সাবধানে ধরে ঝাকিয়ে দিন।যাতে তলায় ধরে না যায়।দশ মিনিট পর একটি মিষ্টি তুলে দেখুন ভেতরে সিদ্ধ হয়েছে কিনা।বেশি কাঁচা থাকলে আরও কিছুক্ষণ কম আঁচে সিদ্ধ করুন।আর যদি সামান্য কাঁচা থাকে তাহলে চুলা নিভিয়ে বাসন ঢাকা দিয়ে রাখুন।ভেতরের তাপে আরও ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে।ঠান্ডা করে পরিবেশণ করুন।পরিবেশণের পুর্বে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন মিষ্টির উপরে।

Ice Tea

উপকরণ:
     ফুটন্ত গরম পানি             দেড় লিটার,
     কমলার রস                 ১ কাপ,
     লেবুর রস                   ৩ টেবিল চামচ,
     টি ব্যাগ                     ৬ টি,
     পুদিনা পাতা                  ১২-১৩ টি,
     চিনি                        ৪ টেবিল চামচ(স্বাদমতো),
     বরফ কুচি                  ১ কাপ(পরিমাণ মতো)।



প্রণালী:

     পানি ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।এবার এতে টি ব্যাগ, পুদিনা পাতা  ও চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে রাখুন ১০-১২ মিুনট।মিশ্রণটি ছেকে কমলা ও লেবুর রস মেশান।গ্লাসে বরফ কুচি দিয়ে চা ঢালুন।পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Green Tea

উপকরণ:
     Green teabags/পাতা      প্রত্যেক কাপ পানির জন্য ১ চা চামচ,                
     গরম পানি               পরিমাণ মতো,
     পুদিনা/তুলসি পাতা        ৪-৫ টি,
     মধু                      ১ চা চামচ,
     লেবুর রস                কয়েকফোঁটা।



প্রণালী:

     আগে ঠিক করে নিন কয় কাপ চা বানাবেন।সাধারণত প্রতি ১ কাপ চায়ের জন্য ১ চা চামচ সবুজ চা পাতা দেয়া হয়।এতে করে একটি ঘন লিকার আসে।একটি ছাকনিতে যে পরিমাণ চা বানাবেন তার পরিমাণ অনুযায়ী green tea leaves নিন।একটি বাসনে পানি নিয়ে তা গরম করুন খেয়াল রাখবেন পানি যেন না ফোটে।একটি খালি মগ বা কাপের উপর ছাকনি টি রাখুন।চা পাতান উপর দিয়ে মগে গরম পানি ঢালুন।২-৩ মিনিট মতো চা পাতা গুলো ভেজান এর  বেশি নয় নতুবা চা তিতা লাগবে।মগ থেকে ছাকনি নামান।কিছুক্ষণ আপনার চা ঠান্ডা করুন এবং উপভোগ করুন আপনার perfect cup of green tea.

Wednesday, 9 May 2018

আলুর কোর্মা

উপকরণ:
     আলু        আধ কোজি,
     টকদই       পরিমাণ মতো,
     পেঁয়াজ       পরিমাণ মতো,
     মরিচ       পরিমাণ মতো,
     আদাবাটা     পরিমাণ মতো,
     চিনি        পরিমান মতো,
     কিসমিস তেল  পরিমাণ মতো,
     লবণ        পরিমাণ মতো।



প্রণালী:

     আলুর খোসা ছাড়িয়ে বড় বড় করে কেটে ভেজে তুলে রাখুন।অন্য বাসনে সব উপকরণ ভাজা আরুর সাথে মেখে রেখে দিন।এবার আঁচে ডেকচি চাপিয়ে ঘি দিন।গরম হলে তেজপাতা ও গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে মশলা মাখা আলু ঢেলে দিন। সামান্য পানি দিয়ে ডেকচির মুখ ঢাকা দিন।এবার অল্প আঁচে বসিয়ে রাখুন। আলু সিদ্ধ হলে মাখা মাখা হলে ঝোল থাকতে নামিয়ে নিন।

Tuesday, 8 May 2018

রেশমি কাবাব

উপকরণ:
     হাড় ছাড়া মুরগী                ২৫০ গ্রাম,
     কাঁচা পেঁপে                 ২ টা(বাটা),
     ভিনিগার                  ১ চা চামচ,
     রসুন বাটা                ১ চা চামচ,
     গোলমরিচ গুঁড়ো                আধ চা চামচ,
     লবণ                     স্বাদমতো,
     ক্যাপসিকাম               পরিমাণ মতো,
     পেঁয়াজবাটা                আধকাপ।


        
প্রণালী:

     মুরগির টুকরোয় সব উপকরণ দিয়ে মেখে দু ঘন্টা রাখুন।স্কুয়ারে মুরগিরর টুকরো ও ক্যাপসিকাম গেঁথে তন্দুর বা ওভেনে সেঁকে নিন।রুাটির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

তুর্কী শিক কাবাব

উপকরণ:
     রানের হাড়বিহীন গোশত          ৫০০ গ্রাম,
     পেঁয়াজ                       ১০০ গ্রাম,
     রসুন                         ৬-৭ কোয়া,
     মরিচগুঁড়ো                    ১/২ চামচ,
     গরমমশলাগুঁড়ো                ১ চামচ,
     টমেটো                      ২-৩ টি,
     গোটা পেঁয়াজ                 ১ টি,
     কাঁচা মরিচ                  ৩-৪ টি,
     লবণ                       পরিমাণ মতো,
     তেল                        পরিমাণ মতো।


প্রণালী:

     গোশত ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।পেঁয়াজ ও রসুন বেটে নিন।এবার সব মশলা মাংসে মাখিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রেখে দিন।শিকে গাঁথার আগে লবণ মেশাবেন।শিকে গোশতের টুকরো, টমেটো, ও পেঁয়াজের টুকরো, কাঁচামরিচ কুচি সব একসঙ্গে গোশতের সাথে গেথেঁ তেল ও মশলা মাখিয়ে কাঠকয়লার আগুনে অথবা ওভেনে মাঝে মাঝে তেল বা ঘি মাখিয়ে লালচে করে ভেজে নিন।